সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। অর্থাৎ ৫ আগস্টের আগেই লন্ডনের নির্বাসিত জীবন থেকে ঢাকায় ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। তাকে বরণ করতে রাজধানী ঢাকাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি নেতারা। এই শীর্ষনেতাকে স্বাগত জানাতে ২০ লাখ নেতা-কর্মী সমাগমের টার্গেট নিয়েছে দলটি। 

বিএনপি সূত্র বলছে, দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনের খবরে দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন। তার নেতৃত্বে আজ সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধ।’

লন্ডন সফররত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো আইনগত বাধা নেই। তিনি যেকোনো সময় ফিরতে পারেন। সময়মতো তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তবে দলের বেশিরভাগ নেতা-কর্মীর আশা, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। আওয়ামী পতনের এক বছর উদযাপন করবেন দেশের মাটিতে। তবে কোনো কারণে দেরি হলে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পরপরই তার প্রত্যাবর্তন ঘটবে। সে সময় ঢাকায় অন্তত ২০ লাখ কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে আয়োজিত হবে বিশাল গণসংবর্ধনা।

ইতোমধ্যে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। ১৩ জুনের ওই বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। এ বৈঠক থেকেই আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে ভোট আয়োজনের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

এদিকে বিএনপি সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, মনোনয়ন চূড়ান্তকরণ, দল গোছানোসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ সামনে রয়েছে। এসব বাস্তবায়নে তারেক রহমানের উপস্থিতি এখন অপরিহার্য। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও।